উপকারীতাঃ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, ডুমুরে আছে প্রচুর দরকারি ফাইবার। এ ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া বা অন্য কোনো রকম পেটের গোলযোগ সহজে হতে দেয় না। ওজন কমাতে সাহায্য করে। শরীরে মেদ নিয়ে যাঁরা দুশ্চিন্তা করেন, তাঁদের জন্য ডুমুর উপকারী। এর ফাইবার মেটাবলিজমকে ঠিক রাখে এবং শরীরে অকারণ মেদ জমতে দেয় না। উচ্চ রক্তচাপ।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ডুমুরে আছে প্রচুর দরকারি ফাইবার। এ ফাইবার হজমে সাহায্য করে। এ ছাড়া এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। ডায়রিয়া বা অন্য কোনো রকম পেটের গোলযোগ সহজে হতে দেয় না।
ওজন কমাতে সাহায্য করে শরীরে মেদ নিয়ে যাঁরা দুশ্চিন্তা করেন, তাঁদের জন্য ডুমুর উপকারী। এর ফাইবার মেটাবলিজমকে ঠিক রাখে এবং শরীরে অকারণ মেদ জমতে দেয় না।
উচ্চ রক্তচাপ নানা কারণে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিয়মিত ও পরিমিত ডুমুর ফল খেলে আমাদের শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের সামঞ্জস্য রক্ষা হয়। ফলে উচ্চ রক্তচাপ হওয়ার আশঙ্কা কম হয়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ডুমুরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি ফ্রি র্যাডিকেলস নষ্ট করে। এতে হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে। শুকনো ডুমুর রক্তের ট্রাইগ্লিসারিডসকে কমায়।
হিমোগ্লোবিন ঠিক রাখে ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। আয়রন কমে গেলে আমাদের শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে যায়, যা শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক। ডুমুর আমাদের শরীরে আয়রনের পরিমাণকে স্বাভাবিক রাখে।
ত্বকের জন্য উপকারী শুধু খেতে ভালো তা-ই না, ডুমুরের ঔষধি গুণ নিয়েও অনেক প্রশংসা আছে। ডুমুর ফল কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়, ফোঁড়া ও চর্মরোগ নিরাময়ে বেশ কাজ দেয়।
রক্তচাপ এবং বার্ধক্য নিয়ন্ত্রণে: ডুমুর পটাশিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার ফলে সোডিয়াম-এর প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। তারা পর্যাপ্ত লোহা, ইস্ট্রোজেন ইত্যাদি সরবরাহ করে বয়সের প্রভাব নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। এটি আপনার হরমোনগুলিকে পরীক্ষার মধ্যে রাখে এবং আপনার শক্তিকেও বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। ডুমুর ত্বক এবং চুল এবং নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। ডুমুরের পেস্ট মুখের ওপর মাখলে তা ব্রণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: পর্যাপ্ত ও নিয়মিত পরিমাণ ডুমুর ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডুমুর ফাইবারে সমৃদ্ধ অতএব ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকার এটি ভালো উপায়। হালকা টিফিনের জন্য আপনি ডুমুর কে বেছে নিতে পারেন। এটি একই সাথে আপনার পেটও ভরাবে এবং আপনার শরীরকে যথেষ্ট পুষ্টিগুণও প্রদান করবে।
হৃৎপিন্ডের জন্য উপযুক্ত পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য: ডুমুর রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ হ্রাস করে। ট্রাইগ্লিসারাইড হৃদরোগের জন্য দায়ী কারণ তারা রক্তনালীর মধ্যে জমাট সৃষ্টি করে যার ফলে হার্ট অ্যাটাকের সৃষ্টি হয়।
ক্যানসারের সম্ভাবনা হ্রাস করে: ডুমুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় র্যাডিকেল এবং ক্রনিক প্রদাহ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। র্যাডিকেল ক্যান্সার, হৃদরোগ, এবং ডায়াবেটিস সহ দীর্ঘস্থায়ী রোগের জন্য দায়ী। ডুমুরকে এই দীর্ঘস্থায়ী স্বাস্থ্য অবস্থার একটি প্রতিরোধক হিসাবে গণ্য করা হয়। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে: ডুমুরগুলিতে উপস্থিত ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড ডায়াবেটিক রক্তের শর্করার মাত্রা হ্রাসে সহায়তা করে। এছাড়াও ডুমুর মধ্যে প্রচুর পটাসিয়াম পাওয়া যায় যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
হাড়ের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে: স্বাস্থ্যকর ও মজবুত হাড়ের জন্য প্রয়োজন হয়। ক্যালসিয়াম, এবং ডুমুর হলো এই ক্যালসিয়ামের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক উৎস। দুগ্ধজাত পণ্যগুলি ক্যালসিয়ামের উৎস হলেও, তা যথেষ্ট হয় না, এবং ডুমুর একটি ভাল বিকল্প হিসেবে গণ্য হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধক: ফাইবার সমৃদ্ধডুমুর অন্ত্রের গতিশীলতার জন্য ভাল এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারে। ফাইবার অন্ত্র আন্দোলনে সাহায্য করে।
প্রজনন ব্যবস্থাকে সচল রাখে: ডুমুর ম্যাগনেসিয়াম, দস্তা এবং ম্যাঙ্গানিজের মত খনিজগুলির সমৃদ্ধ হয় যা প্রাণবন্ততা ও উর্বরতা বজায় অবদান রাখে। ডুমুর দুধে ভিজিয়ে অথবা ওপরে বর্ণিত যে কোন উপায়ে খাওয়া যায়। সুতরাং, আপনি যদি গর্ভবতী হন বা একটি শিশুর পরিকল্পনা করেন, তবে আপনার ডায়েটে এই ফলটি অতিঅবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করুন। কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে: কিছু ডুমুর জলে ফুটিয়ে নিন এবং সেই দলটি কিছুদিন ধরে পান করুন। এই জল কিডনিতে পাথর প্রতিরোধে সহায়তা করে। আপনি যদি কোনও নির্দিষ্ট সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে চান তবে আপনি একজন ডায়েটেশিয়ান / পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করতে পারেন।